কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার মুলবাজারে অবস্থিত হিরা জামে মসজিদের অজুখানা ও প্রসাবখানার বেহাল অবস্থার কারনে মুসল্লীরা প্রতিনিয়ত তাদের মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কয়েকবছর যাবত এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও নিরসনে কোন সক্রিয় ভুমিকা রাখছেন না মসজিদ কমিটি এমনই অভিযোগ মুসল্লীদের।একাধিক মুসল্লীদের অভিযোগ হিরা জামে মসজিদ মুল বাজারের মধ্যে হওয়ায় অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা এই মসজিদে নামাজ আদায় করেন।
কিন্তু মসজিদের অজুখানা ও প্রসাবখানার মধ্যে প্রবেশ করার কোন পরিস্থিতি নেই সামনে দিয়ে নোংরা কাদায় টইটম্বুর। যেকারনে বাইরে থেকে অজু করে এসে এখানে নামাজ আদায় করতে হয়। এবং প্রসাবখানার মধ্যে প্রবেশ করাতো দুরের কথা সামনে যাবার কোন পরিস্থিতি নেই নোংরা কাঁদা ও ডাইং ফ্যাক্টরীর বর্জ্যের কারনে।এ বিষয়ে অজুখানার পার্শ্ববর্তী ডাইং ফ্যাক্টরীসহ একাধিক দোকানের মালিক ওবায়দুল হক বাচ্চু জানান, তিনি বিএডিসি থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে লিজ নিয়েছেন উল্লেখিত সম্পত্তি। এবং প্রতিমাসে ভাড়া প্রদান করছেন। বিগত ১৭ বছর যাবত তার লিজকৃত সম্পত্তির উপর হিরা মসজিদের প্রসাবখানা ও অজুখানা করে রেখেছে। তিনি আরো বলেন মসজিদের নিজেস্ব সম্পত্তি থাকলেও শুধুমাত্র পেশীশক্তির বলে তার সম্পত্তির উপর মসজিদের মতো পবিত্র প্রতিষ্ঠান জোরপূর্বক দখলে রেখেছে। এবং প্রসাবখানার কারনে তার বিল্ডিংয়ের অনেক ক্ষতি হচ্ছে যেকোন সময় তার তৈরীকৃত বিল্ডিং ধ্বসে পরার সম্ভাবনা রয়েছে।মসজিদ কমিটির সভাপতি মোঃ শাহজাহান মোল্লা জানান, নোংরা পরিস্কার করার জন্য পাবনা থেকে সুইপার আনা হয়েছিল কিন্তু তারা কোনভাবেই পরিস্কার করতে পারেনি। তবে মসজিদের নিজেস্ব জায়গা আছে সেখানে বর্ষা মৌসুম চলে গেলেই অজুখানা ও প্রসাবখানা তৈরী করা হবে।এ বিষয়ে পৌরমেয়র মোঃ সামছুজ্জামান অরুন বলেন মসজিদ সংশ্লিষ্ট অজুখানা ও প্রসাবখানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কিন্তু মসজিদের অজুখানা ও প্রসাবখানা অপরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে। টয়লেটের নিজেস্ব কোন ট্যাংকী না থাকার কারনে সমস্ত বর্জ্য ড্রেনে সরাসরি যাবার কারনে সুইপার এনেও কোন লাভ হয়নি তারা পরিস্কার করতে পারেনি। কারন তারাওতো মানুষ।